১৯৭১ সনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ আমল শুরু হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন সংবিধানে প্রাথমিক শিক্ষা রাষ্টের দায়িত্ব হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বিধানগুলো হলো: ” যে সকল উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র একটি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করবে- (ক) একটি অভিন্ন, জনসম্পৃক্ত ও সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সব ছেলেমেয়ের জন্য বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার যা আইন দ্বারা নির্ণয় করা যেতে পারে।- (খ) শিক্ষাকে সমাজের চাহিদার সাথে সংযোগ করা এবং সমাজের ঐ সব চাহিদা পূরণে সক্ষম প্রশিক্ষত এবং প্রণোদিত নাগরিক তৈরী করা এবং (গ) একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করা আইন দ্বারা নির্ধারণ করা যেতে পারে”। সরকার জাতীয় দায়িত্ব হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে স্বীকার করে এবং শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার যা বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। স্বাধীনতার সূর্য্য উদয়ের পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে পুনর্জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তারই আলোকে, স্বাধীনতার পর পরই শিক্ষা ব্যবস্থা হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। প্রতিবেশী দেশগুলোর শিক্ষা পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি স্বাধীন জাতি হিসাবে বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করার জন্য এর উদ্দেশ্য, কৌশল এবং কর্ম পরিকল্পনা প্রনয়ণের লক্ষ্যে সুপারিশ করার জন্য ১৯৭২ সনে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস